রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:১২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেক্স: সব উৎকণ্ঠার অবসান হয়েছে, ভবানীপুরে ৫৮ হাজার ৮৩২ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জী। ফলে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মসনদ তার দখলেই থাকছে।
সেই সঙ্গে ভবানীপুরে জয়ের হ্যাটট্রিক করেছেন দিদি।
মুখ্যমন্ত্রীর কুরশি দখলে রাখতে এই উপ-নির্বাচনে জয়ের বিকল্প ছিল না তৃণমূল কংগ্রেস প্রধান মমতা ব্যানার্জীর। যদিও তার জয়ী হওয়া নিয়ে তেমন সংশয় ছিল না দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে। শুধূ কত ভোটের ব্যবধানে দিদি জিতবেন তা নিয়ে জল্পনা ছিল তুঙ্গে।
ভবানীপুর বিধানসভা আসনের উপ-নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয় বৃহস্পতিবার (৩০সেপ্টেম্বর)। রোববার (৩ অক্টোবর) ভোট গণনা শেষে ফলাফল প্রকাশ করা হলো।
এই উপ-নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে মমতা আর থাকতে পারছেন কিনা তা নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেইআলোচনা চলছিল। রোববার (৩ অক্টোবর) ভোটের ফলাফল ঘোষণার মাধ্যমে সেই ভাবনার অবসান ঘটলো।
৫৭ শতাংশেরও বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন ভবানীপুর উপ-নির্বাচনে। গত ২৬ এপ্রিলের বিধানসভা ভোটে এই কেন্দ্রে ভোট পড়েছিল প্রায় ৬২ শতাংশ। তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জয়ী হয়েছিলেন ২৮ হাজার ৭১৯ ভোটের ব্যবধানে।
২০১১ সালেও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এ কেন্দ্র থেকেই উপ-নির্বাচনে জিতেছিলেন মমতা। সেবার ভোট পড়েছিল ৪৫ শতাংশেরও কম। মমতা জিতেছিলেন ৫৪ হাজারের কিছু বেশি ভোটে। ভবানীপুরে এবার মোট প্রার্থী ছিলেন ১২ জন। নির্বাচনে বিজেপি থেকে মমতার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল।
গত মে মাসে অনুষ্ঠিত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস নিরঙ্কুশ জয় লাভ করে পশ্চিশ্চমবঙ্গের মসনদ ধরে রাখতে পারলেও দলীয় প্রধান মমতা ব্যনার্জি। দল বিপুল বিজয়লাভ করার পর ৫ মে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তৃণমূলনেত্রী। তবে, সেই শপথের মেয়াদ ৪ নভেম্বর শেষ হচ্ছিল মমতার। তার আগেই উপ-নির্বাচনের দিন ঘোষণা করে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এতে নিজের পুরনো কেন্দ্র ভবানিপুরেই প্রার্থী হন পশ্চিমবঙ্গের দিদি মমতা ব্যানার্জি।